ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার রাতভর এই হামলায় এ পর্যন্ত ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন ৩১ জন এবং আহত হয়েছেন ১৬০ জনেরও বেশি। নিহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।
রুশ বাহিনী
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার সেনা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবার ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলের দক্ষিণে বন্দর ও শিল্প স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বুধবার এই হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেন বাহিনীর পাল্টা হামলায় পালানোর সময় রুশ বাহিনী আতঙ্ক ছাড়চ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউক্রেন বাহিনী লুহানস্ক অঞ্চলে অগ্রসর হতে থাকার প্রেক্ষাপটে লড়াই তীব্র হয়েছে। তবে যেসব এলাকা তারা আবার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে, সেখানে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যাচ্ছে।
পুনর্দখলে নেয়া এলাকা থেকে রাশিয়ান বাহিনীকে পুরোপুরি হটাতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, তাদের সৈন্যরা আট হাজার এলাকা পুনর্দখল করেছে। এর অর্ধেক এলাকায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাকি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গত কয়েক দিনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর তড়িৎ অভিযানকে অবিশ্বাস্য বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হাতছাড়া হওয়ার পর রুশ সেনাবাহিনীর দক্ষতার সমালোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি শপিং মলে রুশ বাহিনীর গোলা বর্ষণে অন্তত একজন প্রাণ হারিয়েছে। নগরীর মেয়র এ কথা জানান।বার্তা সংস্থা এএফপি’র একজন সাংবাদিক জানান, রোববার দিন শেষে এ গোলাবর্ষণের পর শপিং মল থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুন্ডলি উড়তে দেখা গেছে।
রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের খারসন নগরীর দখল করে নিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে মস্কো কিয়েভের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করার পর এই প্রথম দেশটির কোন শহরের পতন ঘটলো। স্থানীয় কর্মকর্তার একথা নিশ্চিত করেছেন।
পঞ্চম দিনে পা দিল রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ । কিন্তু এখনও রাশিয়ার দুর্জেয় ঘাঁটি কিয়েভ । ইউক্রেনের সেনা কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে পুতিন বাহিনীকে।